





দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কাচামাল শাক-সবজি যা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি তার সবই যদি হয় হেভি মেটাল নয়ত ভেজাল বা নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি! সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তার বিরুদ্ধে আসলে কতোটা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে? –লিখেছেন ইঞ্জিঃ শফিকুর রহমান লিমন

দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আগামি প্রজন্মকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে নিজস্ব চেষ্টায় কাজ করে চলেছেন, একজন সরব যোদ্ধা মাহবুব কবির মিলন সাবেক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মাহবুব কবির মিলনঃ খাদ্য নিরাপত্তার ব্যপারে যিনি আপোষহীন, করেছেন অনেক কিছু, সহেছেন ঘাত প্রতিঘাত, বন্ধ করতে পেরেছেন বানিজ্যিক Formalin Import। অনেকের চোখের বালি হয়ে বদলি হয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে, সেখান থেকে ওএসডি। তবুও ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধে লড়ে চলেছেন NID দিয়ে টিকেট কাটা, শেষ তিনি দেখেই ছাড়বেন। বিস্তারিত সবার নিচে……

আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার রাজন-সাবেক শিক্ষক বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, উপমহাব্যস্থাপক বসুন্ধরা গ্রুপ, সিএও (কে এফ ইনকরপোরেশন ইউএসএ), মহাসচিব-ফিয়াব ফাউন্ডেশন। আধুনিক খাদ্যশিল্প ও লেটেস্ট ইনোভেশন নিয়ে যিনি কাজ করেন-প্রশিক্ষন নিয়েছেন কানাডা, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইটালি, ভ্যাটিকান, চায়না, ভারতের বহু শহরে।



নিরবে দক্ষ নিরপদ খাদ্যযোদ্ধা তৈরি করে চলেছেন ২০১৬ সাল থেকে। দেশের সকল টপ ম্যানেজমেন্টদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং যেখানে নিজ হাতে সবাইকে প্রশিক্ষন ও কাজ শেখাচ্ছেন তারা। ২০১৮ সালে দাড় করিয়েছেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এলামনাই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন Govt. Reg. RJSC-S-13055/2018

নিশ্চিত চাকুরি পাচ্ছে যেখানেঃ ফিয়াব থেকে কাজ শিখে সবাইক চাকুরি পাচ্ছে দেশের সকল টপ লেবেল ফূড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রান, আকিজ ফুড, আকিজ বেকারস, অলিম্পিক, ডেনিশ, ইওন ফুড, জিহান মিল্ক, সিডিআইপি (CDPI) সহ আরো নামকরা প্রতিষ্ঠানে। ফিয়াব ল্যাবে সবাই বেভারেজ, বেকারি, ডেইরী, স্ন্যাকস, পানি, মিল্ক এর টেস্ট ও তৈরির ও নিজ হাতে প্রস্তুত করতে পারে এমনভাবে কাজ শেখানো হয়।

সাথে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন Food Safety Hygiene HACCP GMP Food Safety ISO HALAL FDA GFSI BRC সমন্ধে, যেখানে রয়েছেন দেশসেরা সকল প্রশিক্ষক।

খাদ্য নিরাপত্তায় তার অবদানঃ কথা বলেছেন খাদ্য নিরাপত্তার প্রতিটি ধাপ নিয়ে, কিভাবে আমাদের রক্তে মিশে যাচ্ছে হেভিমেটাল নামক নিরব ঘাতক বিষ, যার পরিনাম নিশিত ক্যান্সার নামক ব্যাধি। শুরু করেছেন গুড ম্যানুফেকচারিং প্র্যাক্টিস করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন। যা তিনি ছড়িয়ে দিতে চান সারাদেশব্যাপী। আরো অনেক গল্প হয়েছে দেশের খাদ্যশিল্পের উন্নয়নে। আরো আসবে সামনে……
যেভাবে পেয়ে গেলাম স্যারকে: কানাডা’ তে একজনের কাছে নম্বর চেয়েছিলাম, বলেছিলো অনুমতি নিয়ে জানাবো, আর জানায়নি। আজ গুলশান গিয়েছিলাম চায়নিজ ও পাকিস্তানি সাপ্লায়ার এর সাথে মিট করতে। তারপর পাকিস্তানি নিয়ে গেলো তিনি যে সুপারসপের এডভাইজর নিযুক্ত আছেন। সিকিউরিটি কে জিগ্যেস করলাম মিলন স্যার কোথায় বসেন, আছে কি নাই জানিনা। সরাসরি অফিসে গিয়ে হাজির। অফিসে এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কেউ যেতে পারেনা। রিসিপশনিস্ট নেই, তবুও সরাসরি ঢুকে গেলাম৷ এক ভাইকে পরিচয় দিয়ে বললাম স্যারের কাছে আসছি। তিনি কল দিয়ে বলিলেন আপনার কাছে গেস্ট আসছে। বসলাম অনেক্ষন। স্যার এলেন রুমে ঢুকলেন, আমাদের পরিচয় দিলাম, ১ ২ কথার পর উনার গল্প শুরু সারাজিবন এর আক্ষেপ ও এচিভমেন্ট। ধন্যবাদ স্যারকে সময় দেবার জন্য, সুস্থ্যভাবে বেচে থাকুন আমাদের মাঝে বহুদিন।