Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কেমিক্যাল টেকনোলজি এর নবনিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান মোর্শেদ আলম স্যার। সবসময় হাশিমুখে থাকা ও খুব কুল একজন মানুষ, সকলের পছন্দের ও ভালোবাসার শিক্ষক হলেন এই মানুষটি। স্যারের জন্য অনেকে অনেক শুভেচ্ছা। আজ স্যারের একজন ছাত্র, সাবেক শিক্ষক, বর্তমান প্রশিক্ষক ও অপারেশন হেড হিসেবে লিখছি। আসলে স্যার সমন্ধে লিখে শেষ করা যাবেনা, আমাদের ২০০০ ব্যাচের সাথে স্যারের দারুন একটা সম্পর্ক ছিলো ক্লাসে, তখন স্যার ছিলে ব্যাচেলর তাই মজাটা ছিলো সেই রকম। প্রথম ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচ সবচেয়ে বেশি সময় আমরাই পার করেছি আমরা।

২৬/০৬/২০২৩ রোজ সোমবার তিনি অত্র বিভাগের দায়িত্ব গ্রহন করেন, ফুড টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব খোরশেদ আলম তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে জনাব খোরশেদ আলম ও আমি নরসিংদী পলিটেকনিকে একসাথে কর্মরত ছিলাম।

ঢাকা পলিটেকনিক এর সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে স্যার এর পর আর কেউ আসবে কিনা জানিনা। তবে ঢাকা পলিটেকনিকের কেমি-ফুড বিভাগের স্বর্ণযুগের অবকাশ হয়ে যাচ্ছে এতা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে এর রেশ বাজারে টের পেতে এক্টু সময় লাগবে কারন এখন পর্যন্ত খাদ্যশিল্পের বেশিরভাগ অভিজ্ঞরাই হেড হিসেবে রয়েছেন।

আমরা ২০০০ সালে ভর্তি হই তখন যে কয়েকজন হীরার টুকরো শয়াড় পেয়েছিলাম তার মধ্যে একজন মোরশেদ আলম স্যার। অন্যরা সবাই এখন প্রাক্তন যেমন শামশুর রহমান স্যার, সুরেশ চন্দ্র মন্ডল, আবু তাহের মিয়া, জহিরুল ইসলাম স্যার, এবং আর এস বিভাগের মাহফুজুর রহমান স্যার। আর যারা উনাদের ছাত্র তারাই এখন দেশখ্যাত ও বিখ্যাত হয়ে আছেন দেশ বিদেশে।

এতোদিন যাবত ফুড ও ক্যামিকেল বিভাগ একসাথেই চলছিলো, এই বছর থেকে আলাদা আলাদা বিভাগীয় প্রধান। যারা ঢাকা পলিটেকনিক থেকে পাশ করে পলিটেকনিক এ শিক্ষকতা করেছি তারা ছাড়া এর মুল্য অন্যরা বুঝবে না। ঢাকা পলিটেকনিক এর ফুড বিভাগ সারদেশব্যাপি নামকরা, বহু ছাত্র রাজনীতির কর্ণধার ফুড টেকনোলজির।

আমি খন্দকার রাজন ২০০০-২০০১ সেশন, ১ম ৪ বছর মেয়াদি ব্যাচ আমাদের সময় নতুন সিলেবাস হলো অনেক নতুন নতুন সিলেবাস ও বই সংযুক্ত হলো, রেফারেন্স বই ছিলো সবই ইংরেজিতে যা বেশিরভাগ আমেরিকা ও ইউরোপের লেখকদের। সেই বই যোগাড় করে বাংলায় অনুবাদ করে আমি লিখেছি দিনের রাত লাইব্ররি ও হলে বসে। নীলক্ষেত নিউমার্কেট গিয়েছি বই কিনতে। সেখানে পেয়েছি স্যারদের সহ্যগিতা।

তখন তো আর বুঝতাম না প্রতিটি বিষয়ে ও কাজে ও পরিক্ষার নম্বর যুক্ত হয়ে ফাইনালে। অনেক দিন পর জানলাম এই কথা ততোদিনে মধ্য পর্ব শেষ, তারপর পড়েও প্রথম হলাম বিভাগের মধ্যে। এরপর দুই বিভাগের মধ্যে বেশি নম্বর এবং একসময় হ্যাট্রিক করা ফার্স্ট বয় খ্যাতি ও পুরো পলিটেকনিক এ সর্বোচ্চ নম্বর অধিকারি। আলহামদুলিল্লাহ ও শুক-রিয়াহ। এখন দেশসেরা কোম্পানিগুলোর টপ ম্যানেজমেন্ট এ কাজ করে এখন বিদেশী কোম্পানীর সিইও হিসেবে কাজ করছি। এটাই প্রাপ্তি কারন আমি ঢাকা পলিটেকনিক এর ছাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.