






বাংলাদেশ এক অপার সম্ভবনার নাম, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। আসলেই কবিতার পঙক্তিতে উঠে আস কথা গুলো পুরোটাই সত্যি। তবে দেশ দেশের মানুষ ও শিল্পায়নের সঠিক নিয়ম না মানা ও পরিবেশের সাথে অপব্যবহার সোনার দেশটাকে কুৎসিত করে দিচ্ছে। পরিবেশ হয়েছে বিষাক্ত, পানি নদীনালা খানবিল হয়েছে পরিত্যক্ত। ফসল শাকসবজিতে এখন হেভি মেটাল, পেস্টিসাইড রেসিডিও, যা শরিরে ঢুকে সৃষ্টি করছে নানাবিধ জটিল রোগ ও ক্যান্সার নামক মরনব্যাধ্যি। তবে এসবের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক নিয়মে সাজাতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে হাতে কলমে বাস্তবিক শিক্ষার প্রসার। যে শিক্ষার ফলে সবকিছুর সঠিক ব্যবহার জানতে পারবে হতে পারবে উদ্যোক্তা , সেটা হোক ছোট পরিসরে। শফিকুর রহমান লিমনের অনুপ্রেরনায় লিখেছেন খন্দকার রাজন

খন্দকার রাজন ফাউন্ডার স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিয়াব ফাউন্ডেশন

দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে এখন চালু হয়েছে ফুড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড এন্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, ফূড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারবেশন এইরকম বিষয়। এই বিষয় গুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে আরো উন্নত হবে আমদের দেশ। কারন এতে করে নিজস্ব কাচামাল ব্যবহার করে পন্য উৎপাদনে আগ্রহি হয়ে গড়ে উঠবে অসংখ্য উদ্যোক্তা।
সাথে শিল্প কারখানায় কর্মসংস্থান হবে দক্ষ জনবলের। সাথে রিসার্চের বিশাল সুযোগ তৈরি হবে এখন হচ্ছেও বটে।
তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি করার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো ছাত্রছাত্রি পাশ করে বের হচ্ছে তাই চাকুরীর বাজারে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। দেশের বহু গ্রুপ অফ কোম্পানি এখন আর প্রাইভেট থেকে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজিতে পাশ করাদের ভাইভাতে ডাকছেনা। তাই এইচ এস সির পর প্রাইভেট থেক ফূডের উপর ডিগ্রি নিয়ে খাদ্যশিল্পের চাকুরীর বাজারে আপাতত আর জায়গা হচ্ছে না। তাই অন্য যেকোন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে সাথে ফুড প্রসেসিং এর উপড় সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাস্তবিক প্রশিক্ষণ নিতে পারো।
তবে নিউট্রিশন এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে প্রাইভেট থেকে পাশ লরলে এখনো অনেকটা সুযোগ আছে, কারন দেশে এখন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রচুর নিউট্রিশনিস্ট এর নিয়োগ হচ্ছে।
ডিপ্লোমা করে বিএসসি করলে কেমন হবে?
যারা ফুড টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা করেছো তারা আপাতত চাকুরীর দিকে মনোযোগ দাও, বছরখানেক চাকুরি করার পর কোন বিষয়ে কোথায় বিএস সি করবে তা সবার সাথে কথা বলে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। প্রান আরএফএল আবুল খায়ের সহ আরো বেশ কয়েকটি বড়ো গ্রুপ এখন প্রাইভেট বিএসসি নিচ্ছেনা প্রানে যারা টপ লেভেলে জব করছেন সবাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করেই সেই অবস্থানে গিয়েছেন যদিও তারা প্রাইভেট থেকে পরে বিএস সি করেছেন, কিন্তু এটা তাদের প্রোফাইলে যোগ হয়নি আর হবে কিনা সন্দেহ আছে।
এইচ এস সি করে বিএস সি করলে জব কেমন হবে?
শিল্প কারখানায় মোটেও তেমন কোন চাকুরির সুযোগ নেই, যারা অনেক আগে বিএস সি করেছেন তারা কয়েকজন কিছুটা ভালো অবস্থানে আছেন যদিও তারা আবার পাবলিক থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন কেউ পিএইচ ডি ডিগ্রি নিয়েছেন। অনেকেই অড জব করছেন যেমন- কেমিক্যাল কোম্পানিতে সেলস এর কাজ করছে, কেঊ স্যাম্পল ডেলিভারিতে যুক্ত আছে। কেউ কেউ বিভিন্ন যায়গায় কল সেন্টার এ কাজ করছে- যেমন রবি, দারাজ, বিকাশ এই রকম প্রতিষ্ঠানে। কেউ কেউ অনেকদিন ধরে লেগে থেকে এখন কিছুটা ভালো আছে তবে সেটা খুবই নগন্য। কারন এখানে যেসকল শিক্ষক আছেন তাদের কারোরই খাদ্যশিল্পের সাথে তেমন সম্পর্ক নেই বললেই চলে।
ভালো চাকুরি পেতে কি দরকার? রেফারেন্স নাকি ভালো রেজাল্ট?
খাদ্যশিল্পে রয়েছে ভালো চাকুরীর সংস্থান তবে এর জন্য নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কাজ জানার কোন বিকল্প নেই, এই সেক্টরে টিকে থকতে হলে ও ভাল ক্যারিয়ার গড়তে হলে কাজ শিখা ও জানার উপর জোড় দিতে হবে। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার যা অবস্থা তাতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা সম্ভব নয় কারন সেখানে দক্ষ শিককের অভাব রয়েছে তাছাড়া অনেক জায়গায় শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে।

চাকুরিতে দক্ষ জনশক্তি যেহেতু অভাব রয়েছে সেটা অনুভব করে দেশের খাদ্য শিল্পের সিনিয়র আইকঙ্গন গড়ে তুলেছেন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং যেখানে সবাইকে নিজ হাতে কাজ শিখিয়ে চাকুরীর জন্য গড়ে তোলা হয়। এমন ভাবে কাজ শিখনো হয় যেনো হতে পারে উদ্যোক্তা। কাচামালের সোর্স, কেনাকাটা, মান নিয়ন্ত্রণ, পন্য উৎপাদন, প্যাকেটজাতকরন, ডিস্ট্রিবিউশন পুরোটাই শিখানো হয় এখানে। আধুনিক খাদ্যশিল্পে যা যা কাজ হয় সেভাবেই সবাইকে গড়ে তোলা হয়।


সবাইকে বেকারি বেভারেজ ডেইরী স্ন্যাক্স সহ ল্যাবের কাজ শিখানোর পাশাপাশি ISO 9001, ISO22000, HACCP, GMP, Food Safety, HALAL ট্রেনিং করিয়ে সনদ দেয়া হয়। আর সবাই এক ভাইভাতেই জব কনফার্ম করেছে, তবে যারা দুর্বল তারা ২য় বারে কনফার্ম করেছে। ভালো চাকুরি পেতে কাজ জানা কতোটা জরুরি তা স্কল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রছাত্রীরা দেখিয়েছে।