





এক বুদ্ধিমান রাজার দেশে গাজরের বিশাল চাহিদা, রাজা চিন্তা করলো কি করা যায় আমার দেশে তো অনেক খাদ্য বিজ্ঞানী আছে। মন্ত্রী মশায়ের কাছে জানতে চাইলো কি করা যায়? তিনি বললেন চারিদিকে বার্তা ছরিয়ে দাও কারা কাজ করতে আগ্রহি। যেই বলা সেই কাজ। সবাই জেনে গেলো রাজা মশাই খাদ্য প্রকৌশলী খুঁজছেন। সবাই আবেদন করা শুরু করলো। এতো আবেদন যে বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। কাকে রেখে কাকে বেছে নিবে?

এখন দেখুনতো এই খরগোশের কি হাল? সে এতো গাজর দিয়ে কি করবে? তার খাবার জন্য তো এতো গাজর লাগবে না। এখন খরগোশের বুদ্ধিমত্তার উপর গাজরের ভিবিষ্যত নির্ধারিত হবে। কিছু সে খাবার জন্য রাখবে কিছু বাজারে বিক্রি করে দিবে, কিছু কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষন করবে, কিছু হালুয়া বানিয়ে দোকানে বিক্রি করবে। কিছু রিসার্চ সেন্টারে দিবে এর বহুবিদ ব্যবহার উদ্ভাবন করতে। কিছু সে রফতানি করবে, কিছু পাইকারি বিক্রি করবে।

বর্তমান কালে উৎপাদন বেশি হলে যেমন জিনিসের মুল্য পাওয়া যায়না তেমনি চাকুরীর বাজারে বেতন ও পাওয়া যায়না।
কেউ অফার করে গাজর পাহারা দেবার জন্য। কেউ গাজর বাছার সুপারভাইজর হবার জন্য। কেউ গাজর প্রসেসিং এর ইন্সপেক্টর হবার জন্য। কেউ কেউ গাজরের গুণাবলি নির্ণয় করতে কেমিস্ট হিসেবে। কেউ গাজর থেকে বিটা ক্যারোটিন কালার তৈরির প্রসেসিং এ কাজ করার অফার দিবে।

এখন কথা হলো কে কোনটা হবে?